আলমগীর হোসাইনঃ
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েক গুণ। গতকাল বিকেলে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে ৮৩ ও ৪৫ এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
তবে পানি কমলেও খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্য, জ্বালানি ও শৌচাগারের অভাব তীব্র হচ্ছে। সবজির খেত তলিয়ে যাওয়ায় কারও ঘরে নেই তরকারি। ফলে শুকনো ভাতে লবণ ছিটিয়ে খাওয়া ছাড়া গতি নেই। এ দুর্ভোগ জেলার সাড়ে আট লাখ বানভাসির।
এদিকে চিলমারী উপজেলার ৩০ হাজার ৯৩৯টি পরিবারের মধ্যে৩০ হাজারের বেশি পরিবার পুরোপুরি পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।রমনা রেলস্টেশনের উত্তরে রেললাইনের নিচ থেকে ১৫০ মিটার এলাকার মাটি পানির তোড়ে সরে যাওয়ায় রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে আছে। এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় ১১০ মেট্রিক টন চাল ও ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।
চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম বলেন, ‘আমার জানামতে, গত ১০০ বছরে এত পানি চিলমারীর মানুষ দেখে নাই।রেললাইন ও পাকা সড়কে শত শত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।’
দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি
কুড়িগ্রামের গণকমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নাহিদ হাসান বলেছেন, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার ৯৫ শতাংশ মানুষ এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বানের পানিতে ভাসছেন। তাঁদের বাঁচাতে হলে সরকারকে এখনই এ তিন উপজেলা দুর্গত এলাকা ঘোষণা করতে হবে।