বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন

Headline :
চিলমারীতে নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার- ৪ চিলমারীতে ৭৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ নারী আটক কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুর্জয় গ্রেফতার চিলমারী সরকারী কলেজে নতুন অধ্যক্ষর যোগদান নৌডাকাতি রোধে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  রাজিবপুরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের প্রতিবাদ গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবীতে কাউনিয়ায় মুখে কালো পতাকা ধারণ করে বিক্ষোভ মিছিল গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে চিলমারীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল চিলমারী মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সরঞ্জামসহ ৬ জুয়ারি গ্রেফতার  চিলমারীতে নানা আয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস-২০২৫  পালিত

পঞ্চগড়ে শিশুর ওপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির আঘাত ***

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

 পঞ্চগড়ের হাফিজাবাদ ক্ষণিয়াপাড়া এলাকায় আফ্রিদি নামে সাত বছরের এক শিশুর ওপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে অজ্ঞাত কোনো ব্যক্তি আঘাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ওই শিশুর বাম হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরিবারের সন্দেহ ছেলেধরাই তাদের সন্তানের ওপর হামলা করে পালিয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেধরার কোনো আলামত পায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আহত শিশুর পরিবার থেকে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় ক্ষণিয়াপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রত্না বেগম শয়ন ঘরে ছেলে আফ্রিদি (৭) ও আরাফাতকে (৩) রেখে তালা মেরে পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে যান। কিছুক্ষণ পর ঘরের মধ্যে ছেলেদের চিৎকার শুনতে পেয়ে রত্নাও চিৎকার শুরু করেন।

পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পান ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আফ্রিদির হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, রক্ত পড়ছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায়, একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে ঘরের কোণা ভেঙে পালিয়েছে।

পরে পরিবারের লোকজন আফ্রিদিকে প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারসহ স্থানীয়দের ধারণা এটা ছেলে ধরার কাজ। 

প্রতিবেশি মোফাজ্জল হোসেন জানান, আমরা আফ্রিদির মায়ের চিৎকারে গিয়ে দরজা ভেঙে দেখি আফ্রিদির বাম হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। খুব রক্ত ঝরছে। আফ্রিদিকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় একটি লোক টর্চ লাইন জ্বালিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে ঘরের কোণের টিন ভেঙে পালিয়ে গেছে। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। 

আফ্রিদির বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার সঙ্গে তো কারো শত্রুতা নেই যে এমন করবে। এটা নিশ্চয়ই ছেলেধরা বা অজ্ঞাত কোনো মানুষের কাজ। 

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আবু আক্কাস আহমদ জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি সেখানে আমরা ছেলেধরার কোনো আলামত পাইনি। তারপরও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারব। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *