এম এ কে লিমন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের উলিপুরে কোরবানীর পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। চাঁদ উঠার পরের দিন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি স্থানীয় প্রতিটি হাটে পশুর স্বাভাবিক আমদানী থাকলেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে পূর্ববর্তী বছর গুলোর তুলনায় অনেক বেশী। ফলে নিম্ন আয়ের লোকেরা পড়েছে বড়ই বিপাকে। কুড়িগ্রামের প্রায় প্রতিটি পশুর হাটে এবছর ভারতীয় গরুর তুলনায় দেশী জাতের গরুর আমদানী বেশী। ভারতীয় গরু খুব বেশী আমদানী না হওয়ায় এ বছর গরুর দামও বেশী হাকছেন বিক্রেতারা। গত কয়েক দিনে উপজেলার উলিপুর পৌরসভার হাট, দূর্গাপুর, বজরা,কাসিম বাজার এবং থেতরাই হাট ঘুরে দেখা গেছে, এ সব হাটে দেশী জাতের গরু আকার ভেদে ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। উলিপুর সদরহাট আব্দুস সামাদের একটি গরুর দাম হেকেছেন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। আলাপ কালে আঃ সামাদ জানায়, গরুটির দাম উঠেছে ৯০ হাজার টাকা। দলদলিয়া সরদারপাড়া গ্রামের সিদ্দিকুল সরদার ৩ টি গরুর দাম হেকেছেন ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। আলাপ কালে তিনি জানান গরুর দাম উঠেছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। গরুর পাশাপাশি বিভিন্ন হাটে উঠা ছাগলের দামও এবার খুবই চড়া। বিভিন্ন হাটে আকার ও রং ভেঁদে ছাগল বিক্রি হাচ্ছ ৬ থেকে ১২/১৫ হাজার টাকার মধ্যে। চলতি বছর কোরবানীর পশুর দাম চড়া হওয়ায় ক্রেতা সাধারণ বিশেষ করে নি¤œ আয়ের ক্রেতারা বিপাকে পড়েছে। একদিকে বাজারে ধান-চালরে দাম নেই, অন্যদিকে দু’দফায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার স্বল্প আয়ের মানুষ জনের মাঝে ঈদরে কেনা-কাটা করা দুঃসহ হয়ে পরেছে।