অলমগীর হোসাইনঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করা হয়। এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন এর আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবসের দুপুরে এই মেজবানে ৫০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা ছিল। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় আগত শোকার্ত মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মেজবানে অংশ নেন। ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোট ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন জানান, তিনি মেজবানের তত্ত্বাবধান করেছেন। টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এ জন্য বুধবার ২০টি গরু জবাই করা হয়। এখানে ছিল ঐতিহ্যবাহী মেজবানি গরুর মাংস, সাদা ভাত, চনার (ছোলার) ডাল দিয়ে লাউ আর নলির ঝোল। আর টুঙ্গিপাড়ার বালাডাঙ্গা এস এম মুসা হাই স্কুল মাঠে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। তাদের খাবারের মেন্যুতে ছিল মুরগি, সাদা ভাত ও লাউ দিয়ে চনার ডাল। মেজবানের আয়োজনের জন্য বাবুর্চিসহ ৪০ সদস্যের একটি টিম গত মঙ্গলবার টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছায়।
এ ছাড়া মেজবান সফল করতে নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন ও ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী চট্টগ্রাম থেকে ১৫ আগস্ট ভোরে টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান। আয়োজনের সব কাজে টুঙ্গিপাড়ার নেতাকর্মীরা আন্তরিকভাবে সহায়তা করেছেন।
১৯৮৪ সাল থেকে টুঙ্গিপাড়ায় মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৫ আগস্ট উপলক্ষে মেজবান শুরু করেন বলে জানান তিনি।