ইমন দাস,সিনিয়র রিপোর্টারঃ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক কাটেননি দলের নেতারা। কিন্তু পরের দিন কেক কেটেছেন। জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিনের নামে কেক কাটার উৎসবকে জনগণ ঘৃণার চোখে দেখেছে বলেই তারা এই পরিবর্তন করেছে। দলটির উচিত তাদের নেত্রীর জন্মতারিখ ঠিক করা। যে দলের চেয়ারপারসনের জন্মতারিখ ঠিক নেই, সে দল কীভাবে এগোবে?
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ফোরামের আহ্বায়ক ও ডিবিসি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ূয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এমএ জলিল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সহসভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রতন, আজিজুল ইসলাম ভুঁঁইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোরবানির চামড়া নিয়ে বিএনপির অপরাজনীতি সফল হয়নি। শেখ হাসিনার সরকার চামড়া রফতানি ৪০ কোটি ডলার থেকে ২০০ কোটিতে উন্নীত করেছে। দেশে গত ১০ বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে পশু কোরবানি দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের ৩০-৪০ লাখ পশুর জায়গায় এখন প্রায় ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছে। সে তুলনায় ট্যানারির সংখ্যা বৃদ্ধি হয়নি।
তিনি বলেন, অনেক চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বেড়েছে। তবে পরিবেশ রক্ষার বাধ্যবাধকতায় বেশকিছু ট্যানারি বন্ধও হয়ে গেছে। এবারের ঈদে এ অবস্থারই সুযোগ নিতে চেয়েছিল কিছু মুনফালোভী। এ কারণেই চামড়ার দরপতন হয়। তবে কোরবানির পশুর চামড়ার দরপতনের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে সরকার সচেষ্ট।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পূর্ণ হয়নি। কারণ, পলাতক খুনি, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলব, সর্বোপরি সেই হত্যার পটভূমি রচয়িতাদের বিচার এখনও হয়নি। এ জন্য একটি কমিশন গঠন করে বিচার সম্পন্ন করা উচিত। যাতে এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদাহরণ হয়ে থাকে।