অনলাইন ডেস্ক:
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম গত বছর একটি ডিমেরিট পেয়েছে। উইকেট বেশি ফ্লাট থাকায় ডিমেরিট পায় চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামটি। নতুন উইকেটে তাই স্পিনের পাশাপাশি পেস বোলাররাও কিছু সুবিধা পাবেন। তারপরও আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্টের সিরিজে স্পিনই হবে ম্যাচের ফল নির্ধারক। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা তাই আফগান স্পিনারদের সামলাতে ব্যাটিংয়ে বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের দলে আছেন দুই বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলাম। আবার দু’জন ডানহাতি অফস্পিনার মেহেদি মিরাজ ও নাঈম হাসান আছেন। আফগান ব্যাটসম্যানদের তারা ভালো মতোই পরীক্ষা নেবেন। কিন্তু আফগানিস্তানের স্পিনারদের বিপক্ষেও ভালো পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের। বিশেষ করে লেগ স্পিনার রশিদ খান এবং চায়নাম্যান জাহির খানের বিপক্ষে।
সোমবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের বড় অংশ জুড়ে তাই ছিল ব্যাটিং ঝালিয়ে নেওয়া। সাকিব-মুশফিক, মুমিনুল-মাহমুদুল্লাহরা নেটে ব্যাটিং অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন। এছাড়া ইনজুরিতে থাকা মেহেদি মিরাজ বোলিং অনুশীলন করেছেন এদিন। তারা টানা প্রায় তিন ঘণ্টা অনুশীলন করেছেন।
চট্টগ্রামে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে আফগান দুই লেগ স্পিনার রশিদ খান এবং জাহির খান দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। দু’জনেই প্রথম ইনিংসে বিসিবি একাদশের ৮ উইকেট নিয়েছেন। তাদের ঘূর্ণিতে ১২৩ রানে অলআউট হয়েছেন নুরুল হাসান সোহানরা। চায়নাম্যান জাহির খান নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। রশিদ খানরা বাংলাদেশের বিপক্ষেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। যদিও বাংলাদেশের দলের অনেকে ঢাকা থাকতেই বলেছেন, লম্বা ফরম্যাটের ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা কম হওয়ায় রশিদ খানরা অতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন না।
তারপরও সতর্ক বাংলাদেশ দল। নতুন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তাই সাকিব এবং মুশফিককে একাধারে নাঈম হাসানদের বোলিং খেলিয়েছেন। এছাড়া ঢাকার অনুশীলনে নেট বোলিংয়ে লেগ স্পিনার জুবায়ের লিখনকে রাখা হয়। ঢাকায় দুই দলে ভাগ হয়ে টাইগারদের করা অনুশীলনে তরুণ লেগ স্পিনার মিনহাজুল আফ্রিদিও ছিলেন। বাংলাদেশ দলের চিন্তা ভালো ব্যাটিং করা। রান চাপায় আফগানদের ফেলতে পারলে দেশের স্পিনাররা বাকি কাজ করাটা সহজ হবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দু’দল।