অনলাইন ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালে সেনা অভিযানের বিষয়ে এক তদন্ত প্রতিবেদনে নতুন কিছু অভিযোগ পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, তারা এসব সৈনিককে কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি করবে। খবর রয়টার্সের।
শনিবার মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের ওয়েবসাইটে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, একটি সামরিক আদালত দেশটিরও উত্তরে রাখাইন প্রদেশের একটি গ্রামে পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে ‘কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে সেনা সদসরা নির্দেশ পালনে কিছু গাফেলতির’ প্রমাণ পেয়েছে।
রাখাইনের বুথিডাং শহরতলীর গুতারপাইন নামের ওই গ্রামে রোহিঙ্গাদের অন্তত পাঁচটি গণকবর রয়েছে বলে ২০১৮ সালের ফেব্রয়ারিতে বার্তা সংস্থা এপি’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়। তখন মিয়ানমার সরকার গ্রামটিতে কোনো গণকবর নেই উল্লেখ করে বলেছিল, সেখানে লড়াইয়ে ১৯ জন ‘জঙ্গি’ মারা গেছে ও তাদের যথা নিয়মে কবর দেওয়া হয়েছে।
তবে শনিবার সেনাপ্রধানের ওয়েবসাইটে দোষী সেনাদের কোর্ট মার্শালের ঘোষণার পর বার্তা সংস্থা রয়টার্স টেলিফোনে করলে সেনা মুখপাত্র তুন তুন নেই বলেন, এ তদন্ত প্রতিবেদন অত্যন্ত গোপনীয়। এ বিষয়ে কিছু জানার এখতিয়ার আমাদের নেই। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে আরকটি বিবৃতি দেওয়া হবে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর ২০১৭ সালে দেশটির সেনাবাহিনী গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিকাণ্ডের অভিযোগ তোলে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। ঘটনাটি তদন্তে গত মার্চে একজন মেজর-জেনারেল ও দুইজন কর্নেলের সমন্বয়ে সামরিক আদালত গঠন করা হয়। তদন্ত কাজে গত দুই মাসে তারা দুই বার রাখাইনে গেছেন।