কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে কুরবানির গরু দামাদমি নিয়ে প্রতিবেশীর সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘঠেছে। এতে প্রসুতি রুমি খাতুন সহ ২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্র্তি হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে , ভুরুঙ্গামারী সদর উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইছাহক (৫০) গত ১৭.০৮.১৯ তারিখ শনিবার রাতে একই এলাকার বাসিন্দা বজলুর শেখ এর বাড়িতে কুরবানির গরু কিনতে যায়, গরুর দাম নিয়ে কষাকষি হলে বজলুর অসন্তোষ প্রকাশ করে তার কাছে গরু বিক্রি করে না। পরে অন্য কোন ব্যক্তি এর চেয়ে বেশী দাম দিলে গরুটি তার কাছেই বিক্রি করে বজলুর শেখ। অন্য জনের কাছে গরু বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে পরে বজলুর রহমানের সাথে কথার কাটাকাটি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি হয়। কথার কাটাকাটি শুনে দুই পরিবারের সকল সদস্য এক জায়গায় জমায়েত হয়। গালিগালাজ এর এক পযার্য়ে ইছাহক বজলুকে মারধর করে। এই ঘটনায় বজলুর এর মেজো মেয়ে বিলকিছ ও পুত্র বধু রুমি খাতুনসহ পরিবারের কয়েকজন এগিয়ে এলে সোলায়মান মাস্টারের পুত্র সাজ্জাদ ও সজিব বিলকিছ ও রুমিকে পা দিয়ে লাথি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে রুমি জ্ঞান হারায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে জানা যায় তার তলপেটে স্বজোরে আঘাতের কারনে তার সিজারের সেলাই ফেটে যায়।
বজলুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইছাহক ও তার ভাতিজারা সহ তাকে বুকে ও পিঠে মারধর করে আহত করে।
প্রতিপক্ষ সোলায়মান মাস্টারের পুত্র সজিব এর সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে উগ্র মেজাজ দেখিয়ে বলেন এখনো তো কিছুই হয় নি আরও অনেক কিছু করার বাকি আছে তারপর আসিয়েন আপনারা।
পরে বজলুর এর পুত্র থানায় মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নেয়নি ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। পরে বাধ্য হয়ে কোর্টে মামলা করেন বজলুর রহমান ।
এ ব্যাপারে বঙ্গসোনা হাট ইউনিয়নের ১ নম্বও ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা জামান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা একবার দুই পক্ষের সাথে বসছিলাম সমস্যা সমাধান এর জন্য তবে সমাধান হয়নি আমরা আবারো স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব।