নিজস্ব ডেস্কঃ
২০১২ সালের ২৯ আগস্ট শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পানবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হয় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী। পরে উপজেলার রসুনপুর গ্রামের এক বাড়িতে তিন দিন আটকে রেখে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে হুমায়ুন নামে এক যুবক। এ ঘটনায় মেয়েটির মায়ের এজাহারে মামলা হয় ওই বছরই। মেডিকেল পরীক্ষায় মেয়েটির ধর্ষণের আলামতও পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরও বিচার শেষ হয়নি এই মামলার।
গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ইদবারদী এলাকায় ঘটে ছয় বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনা। বিকেল থেকে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সন্ধ্যায় যখন পাওয়া যায়, তখন কাঁদতে কাঁদতে সে শিশুসুলভ ভঙ্গিতে মা-বাবাকে জানায় তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বর্বর ঘটনা। এ ঘটনায় মামলার বিচার এখনও চলছে। পরিবারের অভিযোগ, আসামি বিচারের ধীরগতির সুযোগ নিয়ে জামিনে বেরিয়ে গেছে।
সমকালের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিচারের ধীরগতির কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার জট কেবলই বাড়ছে। এ সুযোগে অধিকাংশ আসামি মামলার বিভিন্ন প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত হয়ে ঘুরছে। এসব আসামির অনেকে প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বাদীকে হুমকি বা অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে নাজেহাল করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে সাক্ষ্য-প্রমাণের ঘাটতি মেনে নিয়ে আপস-মীমাংসায় বাধ্য হচ্ছেন।
সুপ্রিম কোর্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের নিম্ন আদালতে বর্তমানে এক লাখ ৬৫ হাজার ৩২৭টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ২৩৩টি মামলা পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত থাকা মামলার সংখ্যা এক হাজার ১৩৯টি। এর বাইরে শিশু আদালতে বিচারাধীন আরও ১৫ হাজার ১৮৯টি মামলা। সব মিলিয়ে দেশে এ মুহূর্তে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এবং শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার ৫১৬টি মামলা।
এদিকে নারীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার সংগঠন নারীপক্ষের সর্বশেষ এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় ৯৮ দশমিক ৬৪ ভাগ আসামি খালাস পেয়ে পাচ্ছে। সাজা হয় মাত্র ১ দশমিক ৩৬ ভাগ আসামির। বাদী ও আসামিপক্ষের আপস-মীমাংসা, বিচারের ধীরগতি, তদন্তে গাফিলতি, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, সাক্ষীর আদালতে হাজির না হওয়া, যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ না থাকাসহ নানা কারণে এসব মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ঢাকার দুটি এবং জামালপুর, ঝিনাইদহ, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাটের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের ৬০টি মামলা পর্যালোচনা করে বিশ্নেষণমূলক এ প্রতিবেদন তৈরি করে নারীপক্ষ।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের হওয়া মামলার বিচারের ধীরগতির জন্য পুলিশের গাফিলতি ও আদালতের কাঠামো অনেকাংশে দায়ী। বিচারক সংকট, সাক্ষী গরহাজিরসহ নানা কারণে এ-সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না। অন্যদিকে নারী ও শিশুবিষয়ক সংগঠনগুলোর মতে, লোকলজ্জা, প্রভাবশালীদের চাপ ও মিথ্যা ফতোয়ার কারণে এখনও অসংখ্য নারী ও শিশুর নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হচ্ছে না। পাশাপাশি থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলেও অনেক সময় পুলিশের উদাসীনতায় আক্রান্ত নারী বা শিশুকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তুলছে। এসব কারণে অনেকে থানা থেকে পরে আর আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে না। তাই এসব বিষয়ে জনগণকে আরও সচেতন করে তোলা প্রয়োজন।
নিষ্পত্তি :সমকালের কাছে থাকা তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ১৪ হাজার ২৩০টি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। ঢাকায় এসব মামলা বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি, যার সংখ্যা ৯টি। আদালতের সর্বশেষ তথ্যসূত্র অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ৯টি ট্রাইব্যুনালে মাত্র এক হাজার ২৮২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে ১৪২ দশমিক ৪৪টি মামলা প্রতিটি ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হয়। যার মধ্যে মাসে প্রতিটি ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হয়েছে ২৩ দশমিক ৭৪টি মামলা। ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে চট্টগ্রামে। এই জেলায় সাতটি ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার বিচার করা হয়। এসব ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে ১২ হাজার ৩০৮টি মামলা বিচারাধীন। চট্টগ্রামের সাতটি ট্রাইব্যুনালে এ বছরের জানুয়ারি থেকে প্রথম ছয় মাসে দুই হাজার ১টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে ২৮৫ দশমিক ৮৫টি মামলা প্রতিটি ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হয়। যার মধ্যে মাসে প্রতিটি ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৭ দশমিক ৬৪টি মামলা। ঢাকার সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তির হার তুলনা করলে দেখা যায়, চট্টগ্রামে ২৩ দশমিক ৯০টি মামলা গড়ে প্রতি মাসে বেশি নিষ্পত্তি হয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিচারাধীন মামলার সংখ্যার বিচারে দেশের সবচেয়ে কম মামলা রয়েছে খাগড়াছড়িতে। এই জেলায় ৩৬৪টি মামলা বিচারাধীন। এরপর যথাক্রমে শরীয়তপুরে ৩৭৫, কুষ্টিয়ায় ৩৯০, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০৩, ঝালকাঠিতে ৪২৭, নড়াইলে ৪৪০, পঞ্চগড়ে ৪৬৮ ও জয়পুরহাটে ৫৭০টি মামলা বিচারাধীন। পরিসংখ্যান বলছে, এসব জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা অন্য জেলাগুলোর চেয়ে অনেকাংশেই কম। তবে মামলা নিষ্পত্তির দিক থেকে নিষ্পত্তির হার জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বরগুনায়। জেলার একটি ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৫৭টি মামলা। এরপর যথাক্রমে নিষ্পত্তিতে এগিয়ে রয়েছে শেরপুরে ৬৪১টি, পটুয়াখালীতে ৫৫০টি, ভোলায় ৪৬২টি, সিরাজগঞ্জে ৯২১টি (দুটি ট্রাইব্যুনাল), হবিগঞ্জে এক হাজার ২৮৪টি (তিনটি ট্রাইব্যুনাল), রংপুরে ৮৯২ (তিনটি ট্রাইব্যুনাল), যশোরে ৫৭২টি (দুটি ট্রাইব্যুনাল), খুলনায় ৮০৯টি (তিনটি ট্রাইব্যুনাল) অন্যতম।
এ ছাড়া শিশু আদালতে সবচেয়ে বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে ঢাকায়। এই জেলায় বিচারাধীন রয়েছে এক হাজার ৫২৩টি মামলা। এরপর যথাক্রমে বেশি বিচারাধীন রয়েছে রাজশাহীতে ৯২২, কিশোরগঞ্জে ৬৯১, বরিশালে ৫৯২, খুলনায় ৫৭৩, দিনাজপুরে ৫২৯, কক্সবাজারে ৪৭৫, যশোরে ৪৫৫, সিরাজগঞ্জে ৪২১, কুমিল্লায় ৪০১, ময়মনসিংহে ৩৩০, জামালপুরে ৩২৬, নওগাঁয় ৩১৬, গাইবান্ধায় ৩১২, সিলেটে ২৯৮, হবিগঞ্জে ২৯৬, নেত্রকোনায় ২৭৮, লালমনিরহাটে ২৪৬ ও বগুড়ায় ২৪২টি।
মামলা দায়ের :মামলা দায়েরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে সবচেয়ে বেশি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের হয়েছে ঢাকায়। এই জেলায় দুই হাজার ৫০০টি নতুন মামলা আদালতে যুক্ত হয়েছে। এরপর যথাক্রমে সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে কক্সবাজারে এক হাজার ৩৩১, কুমিল্লায় এক হাজার ২০৮, চট্টগ্রামে এক হাজার ২০৭, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮৫৮, হবিগঞ্জে ৮৮১, বরগুনায় ৭১১, নওগাঁয় ৬৩৯, সিরাজগঞ্জে ৫৪৪, খুলনায় ৫২০, পটুয়াখালীতে ৪৮১, সাতক্ষীরায় ৪৮০ ও ভোলায় ৪৭০টি। এ ছাড়া শিশু আদালতে সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে কুমিল্লা জেলায়। এখানে ৩৯৫টি নতুন মামলা এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দায়ের হয়েছে। এরপর যথাক্রমে সিরাজগঞ্জে ৫৩৯, মাগুরায় ২১২, গাইবান্ধায় ৩০৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এখানে আশাব্যঞ্জক একটি নতুন তথ্য পাওয়া গেছে, চলতি বছরে জুন পর্যন্ত দেশের ১৪টি জেলার শিশু আদালতে নতুন কোনো মামলা দায়ের হয়নি। জেলাগুলো হলো ফরিদপুর, মেহেরপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, কুষ্টিয়া, রংপুর, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোনা। এ ছাড়া এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আরও ১২টি জেলার শিশু আদালতেও কোনো নতুন মামলা দায়ের হয়নি। জেলাগুলো হলো যথাক্রমে মানিকগঞ্জ, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, রাজশাহী, নওগাঁ, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা ও ঠাকুরগাঁও।
বিশেষজ্ঞ মত :বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহ্দীন মালিক সমকালকে বলেন, ‘মামলার বিচারের ধীরগতির জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অর্থাৎ পুলিশ দায়ী। কারণ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাগুলো রাষ্ট্র বনাম অভিযুক্তের হয়ে থাকে। এ জন্য রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে পুলিশকেই মামলার বিচারের জন্য তদন্ত, অভিযোগপত্র দাখিল এবং সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়. পুলিশ সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করে না। যে কারণে বিচারে ধীরগতি দেখা দেয়। তাই অবশ্যই আইনের আওতায় সংশ্নিষ্ট পুলিশের দায়িত্বে গাফিলতির জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাহলে বিচারে গতি আসার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা পরিবারগুলোর ন্যায়বিচারও দ্রুত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে শাহ্দীন মালিক বলেন, ‘মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ কর্মকর্তারা ঢাকার চেয়ে বেশি অ্যাকটিভ (কার্যকর)। এটি তারই নমুনা।’ তার মতে, ঢাকার অধিকাংশ পুলিশ ভিআইপি প্রটোকল নিয়ে বেশি ব্যস্ত। তাদের প্রটোকল থেকে ফ্রি করে যদি মামলাগুলোর তদন্ত কাজে লাগানো যায়, তাহলে বিচারে অবশ্যই গতি আসত। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আর যেসব পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বে অবহেলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে সাক্ষী হাজিরসহ অন্যান্য কাজে ব্যাঘাত ঘটান. তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এ ধরনের ব্যবস্থা চালু হলে মামলাজট অনেকাংশে কমে আসবে।
জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, ‘নিম্ন আদালতেই নারী ও শিশু-সংক্রান্ত মামলাগুলোর বিচার সঠিকভাবে পরিচালিত হতে হবে। কারণ উচ্চ আদালতে কেবল আইনের পর্যালোচনা হয়, বিচারটা হয় মূলত নিম্ন আদালতে। এ জন্য নিম্ন আদালতের কাঠামো অবশ্যই নারী ও শিশুবান্ধব হওয়া প্রয়োজন।’ তার মতে, আমাদের আদালতগুলো এখনও নারীদের জন্য সহায়ক নয়। বিচারের সময় এমন সব প্রশ্ন শুনতে হয়, যা তাদের বিব্রত করে। দেখা যায় পরে তাদের অনেকেই শেষ পর্যন্ত বিচার না নিয়ে ফিরে যান। তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের দুর্বলতার কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন-সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত বিচার হচ্ছে না। মামলার তদন্ত, অভিযোগপত্র দাখিল ও সাক্ষী হাজিরেই পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেন। যার ফলে বিচার বিলম্ব হয়। এ ব্যাপারে প্রসিকিউশনের অধীনে পুলিশের একটি নির্দিষ্ট ইউনিট করা যেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।