মাহফুজার রহমান মাহফুুজ,ফুলবাড়ী প্রতিনিধিঃ
গ্রামীণ সংস্কৃতি আর বাংলার ঐতিহ্য যেন এক সুতোয় বাঁধা। বলা চলে বাংলার ঐতিহ্যের ধারক হচ্ছে গ্রামীণসংস্কৃতি।আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের ভান্ডার সম্মৃদ্ধ গ্রামীণসংস্কৃতিতে। কিন্তু কালের আবর্তে সে ভান্ডার দিনে দিনে খালি হয়ে যাচ্ছে। একে একে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যগুলি।আধুনিকতার যাতাকলে পিষ্ট হয়ে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গোল্লা ছুট,ঘোর দৌড়,লাটি খেলা,লাটিম ঘোরানো, কানামাছি খেলা। গ্রামে বড় হয়েছেন অথচ মার্বেল খেলেন নি এমন মানু্ষ খুঁজে পাওয়া দায়।ঊনবিংশ শতাব্দিতে জন্ম নেয়া প্রায় সব মানুষের শৈশবকালের প্রিয় একটি বস্তুু ছিল এই মার্বেল।গ্রামের মেঠো পথে, বাড়ীর আঙ্গিনায়,উঠানে চলতো মার্বেল দিয়ে অনেক প্রকারের খেলা।মার্বেল খেলতে গিয়ে মায়ের বকুনি আর বাবার দৌড়ানি খাননি এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। শৈশবে গাছের সুপারি চুরি করা,বাবার পান্জাবির পকেট থেকে টাকা চুরি করা,মায়ের পোষা মুরগির বাসা থেকে ডিম চুরি করা এবং স্কুল ফাঁকির এক মাত্র কারন ছিল এই মার্বেল। আবার অনেকেই বাবা কিংবা বড় ভাইয়ের কাছে মার্বেল কিনে দেয়ার জন্য বায়না ধরতো। তখন কার দিনে মনে হত যার কাছে যত বেশি মার্বেল সে তত ধনী। বর্তমানে এসব এখন শুধুই স্মৃতি। বিংশ শতাব্দিতে জন্ম নেয়া অধিকাংশ শিশুই হয়তো চিনবে না এই মার্বেল নামক খেলার সামগ্রীটাকে। যান্ত্রিকতার যুগের সাথে তাল মেলাতে না পেরে আমাদের সকলের অগোচরে বিলুপ্তির পথে মার্বেল সহ গ্রামীণ খেলা-ধুলা।