সোমবার , নভেম্বর ১১ ২০২৪
Home / সারা দেশ / করোনা যুদ্ধের নির্ভীক সৈনিক গ্রাম পুলিশ সুরক্ষা ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে যুদ্ধ

করোনা যুদ্ধের নির্ভীক সৈনিক গ্রাম পুলিশ সুরক্ষা ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে যুদ্ধ

 

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

করোনা যুদ্ধের আর এক নির্ভীক সৈনিকের নাম গ্রাম পুলিশ।
ভূরুঙ্গামারীতে করোনা প্রতিরোধে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন ,পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নিয়োজিত গ্রামপুলিশ সদস্যরা। কিন্তু ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামে গঞ্জে কাজ করছে গ্রামপুলিশের সদস্যগন। তারা গ্রামের হাট-বাজার ও পথেঘাটে জনসমাগম এড়াতে মানুষকে সচেতন করছে। লোকজনের সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করণ, পাড়া-মহল্লায় রাতজেগে হোমকোয়ারেন্টাইন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন পাহারা দেওয়া ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণে সহায়তা ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে। অথচ তাদের নিজেদেরই করোনা থেকে সুরক্ষার কোনো সামগ্রী নেই। সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া
হয়নি গ্রাম পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করা এসব নি¤œ আয়ের গ্রামপুলিশদের। গ্রাম পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সাবান ও একটি সাধারণ মাস্ক পেয়েছেন কেউকেউ। কিন্তু পিপিই পাননি। সুরক্ষা সামগ্রীর পাশাপাশি স্বাস্থ্য বীমা ও প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে তারা। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ১০ জন করে গ্রাম পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। এর মধ্যে দফাদার হচ্ছেন তাদের দলনেতা। বাকি ৯ জন মহল্লাদার। গ্রাম পুলিশের বেতনের অর্ধেক দেয় সরকার, বাকি অর্ধেক দেওয়া হয় সংশ্নিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। তাদের মাঝে মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ
অংশের বেতন বকেয়া থাকে।বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের উপজেলা সভাপতি ও তিলাই ইউপির গ্রাম পুলিশ মোঃ আনোয়ারুল হক বলেন, 'করোনা ঝুঁকি নিয়ে আমরা গ্রামে গ্রামে কাজ করছি। কিন্তু আমাদের সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই নেই। আমাদেরকে স্বাস্থ্য বীমা ও প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছি।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মুহাঃ আতিয়ার রহমান বলেন, গ্রাম পুলিশদের সুরক্ষা পোশাক হিসেবে বাৎসরিক পোশাকের সাথে রেইনকোট প্রদান করা হয়েছে। আপাতত বরাদ্দকৃত রেইন কোটটি তাদের সুরক্ষা পোশাক হিসাবে বিবেচিত হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরুজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সুরক্ষা হিসাবে মাস্ক,সাবান, হ্যান্ড গেøাবস দেওয়া হয়েছে। প্রনোদনার বিষয়টি সরকারী সিদ্ধান্তের ব্যাপার । কোন নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

About admin

Check Also

চিলমারীতে ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ প্রত্যাশা প্রকল্পের আয়োজনে বাল্য বিবাহ ও শিশুশ্রম প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

আলমগীর হোসাইন,  ” শিশুর শৈশবকে রক্ষা করি, ভালোবাসায় ও যত্নে গড়ি ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে …

চিলমারী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জনপ্রাণের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

আলমগীর হোসাইন, কুড়িগ্রামের চিলমারী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জনপ্রাণ পত্রিকার ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। সোমবার …

কাউনিয়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

আব্দুল কুদ্দুছ বসুনিয়া, বিশেষ প্রতিনিধি: রংপুরের কাউনিয়ায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর উদ্যোগে খাদ্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *