বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ। প্রতি বছর ৮ মে সারাবিশ্বে থ্যালাসেমিয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘তারুণ্য থেকে শুরু হোক থ্যালাসিমিয়া প্রতিরোধ, বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিরাপদ’
থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। রক্তে যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে তাহলে থ্যালাসেমিয়া হয়। এর ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক প্রায় ২৫০ মিলিয়ন। বাংলাদেশে প্রায় ১০-১২ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। বিশ্বে প্রতি বছর এক লাখ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বাংলাদেশ থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশন প্রতিটি জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি দফতরে সচেতনামূলক অনুষ্ঠান, থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয়ের জন্য বিনামূল্যে স্ক্রিনিং, সব থ্যালাসেমিয়া রোগীকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের আওতাভুক্ত করা এবং দরিদ্র ও সহায়-সম্বলহীন রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করাসহ নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিসের পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান শুরু করেছে।সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি কিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।