রাইসুল ইসলাম ফুল, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্যে মহিলাদের কাছ থেকে চাল ক্রয়ের নামে কালো বাজারে পুরাতন চাল ক্রয় করে। প্রমাণ পাওয়ার এক মাস অতিবাহিত হলেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ, এমনকি ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় এর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে কোন আইনগত ব্যবস্থাও নেয়নি।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলা খাদ্যগুদামের ঘটনা এটি, চলতি আমন মৌসুমে ধান চাল ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম রয়েছে। খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর ১০টাকা কেজি চালের ফেয়ার ডিলারদের কাছ থেকে কালোবাজারে চাল ক্রয় করেন। এই কর্মকর্তার দুর্নীতিতে সহযোগিতা করেন সদর ইউনিয়নের শিবের ডাঙ্গী গ্রামের নাজমা ও উর্মি চাউল কল মালিক ইউসুফ আলী।
এলাকার ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল ব্যাপারটি নিয়ে তৎপর হলে ২ এপ্রিল চর রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান ৯০০বস্তা পুরাতন চাল জব্দ করে এবং খাদ্য গুদাম সিলগালা করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো, আব্দুল হাই সরকার সভাপতি রাজীবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ, কামরুল আলম বাদল চেয়ারম্যান সদর ইউপি, মেহেদি হাসান তারেক সাধারণ সম্পাদক রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ, ব্যবসায়ী বৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ব্যাপারটি নিয়ে আজাহার আলী এবং আব্দুল মোতালেব নামের দুই জন ব্যবসায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
জেলা প্রশাসক জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এবং রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহাদয়কে অনুলিপি প্রদান করেন। আজাহার ও আবদুল মোতালেব বলেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আবু বক্কর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সিলগালা খুলে আলামত সরিয়ে ফেলা হয়। এবং জব্দকৃত চাল অন্য জায়গায় সরিয়ে ফেলার অভিযোগ করে। এব্যাপারে চর রাজিবপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মেহেদী হাসানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন তদন্ত চলছে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা।