দেখতে দেখতে ভারতে ৭০ ছাড়াল করোনাক্রান্তের সংখ্যা। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। এমন অবস্থায়ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সীমিত পরিসরে আজ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু করছে দেশটির সরকার।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬০৪ জনের শরীরে করোনা চিহ্নিত হয়েছে। এতে করে আক্রান্ত বেড়ে ৭০ হাজার ৭৫৬ জনে ঠেকেছে। নতুন করে প্রাণ গেছে ৮৭ জনের। ফলে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৯৩ জনে।
সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও প্রতিদিনই বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৪৫৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এদিকে সরকারি সূত্র বলছে আগামী ১৭ মে’র পরেও ফের একবার বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ। তবে, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নয় এমন অঞ্চলে কিছু কিছু বিধিনিষেধ আরও লাঘব করা হতে পারে। সোমবার এনডিটিভিকে জানিয়েছে সরকারি সূত্রগুলো। জানা গেছে, সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে এনিয়েই বিস্তর আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
এদিকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। ওই রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩ হাজার ৪০১ জন। এর মধ্যে গত একদিনেই সেখানে নতুন করে ১ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনার সন্ধান পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ৮৬৮ জনের।
মহারাষ্ট্রের পরেই সংক্রমণে দ্বিতীয় গুজরাট। ওই রাজ্যে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৫৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ গেছে ৫১৩ জনের।
এমন পরিস্থিতির মধ্যদিয়েই আজ থেকেই কিছু কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে স্টেশন এবং সময়ের বিবরণসহ ট্রেনের নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
আপাতত ১৫ জোড়া ট্রেন চলবে, অর্থাৎ আপ-ডাউন মিলিয়ে মোট ৩০টি ট্রেন চলার কথা। নয়া দিল্লি রেলস্টেশন থেকে ওই ট্রেনগুলি হাওড়া, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইসহ অন্যান্য শহরের মধ্যে চলাচল করবে।