বৃহস্পতিবার , অক্টোবর ৩১ ২০২৪
Home / স্বাস্থ্য / করোনায় যা জানা দরকার

করোনায় যা জানা দরকার

বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবেই সমধিক পরিচিত। বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবক তিনি। মরণঘাতী এই করোনা মোকাবিলায় ভাইরাসটি শনাক্তে গোটাবিশ্ব যখন কিট সংকটে ভুগছে, তখন বাংলাদেশি এই বিজ্ঞানী দাঁড়িয়েছেন মানুষের পাশে।

ড. বিজন কুমার শীল বলেন, করোনাকে অঙ্কুরে বিনাশ করার দুটি পথ খোলা রয়েছে। একটি হচ্ছে- ভিটামিন সি জাতীয় খাবার যেমন- পেয়ারা, লেবু, আমলকি অথবা ভিটামিন-সি ট্যাবলেট খেতে হবে। এর সঙ্গে সম্ভব হলে প্রতিদিন রাতে একটি জিঙ্ক ট্যাবলেট খাবেন। ভিটামিন-সি এবং জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সতেজ, সজীব রাখে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

আরেকটি হচ্ছে- কেউ যদি আক্রান্ত হন, যেমন গলাব্যথা, শুকনো কফ ছাড়া কাশি, কাশি হবে কিন্তু কফ বের হবে না। এটা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম লক্ষণ। অন্য ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্তদের হাঁচি, সর্দি ও নাক দিয়ে পানি পড়ে। তবে করোনা ভাইরাস শুকনো কাশি দিয়ে শুরু হয়।

এক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে- বেশি কড়া না হালকা রং চা বারবার খাওয়া, গরম পানি দিয়ে গার্গল করা। এর চেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে আদা, লবঙ্গ ও একটা গোলমরিচ পানি মিশিয়ে গরম করলে কালোমতো একটা রং হবে। এর সঙ্গে সামান্য মধু বা চিনি দিয়ে চায়ের সঙ্গে খেলে অথবা এই পানি দিয়ে গার্গল করতে হবে। এর ফলে গলায় যে ভাইরাসগুলো থাকে সেগুলো মারা যায়। এছাড়াও গলায় গরম লাগার ফলে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। রং চায়ের এন্টিসেপ্টিক গুণও রয়েছে। বারবার শুকনো কাশির ফলে গলার টিস্যু ফেটে যেতে পারে। চা এই ইনফেকশন রোধ করে।

তিনি বলেন, আপনার জ্বর হোক বা না হোক, এই মুহূর্তে আমাদের সবার উচিত সকালে ঘুম থেকে উঠে, দুপুরে এবং সন্ধ্যায় গার্গল করা। এর ফলে শরীরে যদি ভাইরাস ঢোকেও তাহলে সেটা আর বাড়তে পারবে না। এটা শুধু করোনা ভাইরাস না আরও অনেক ইনফেকশনকে রোধ করতে পারে। কেউ যদি এটা প্রতিদিন করতে পারে, তাহলে তার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবই কম।

করোনা ভাইরাসের কারণে যদি কখনও কারও পেটের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে নিমপাতা বেটে সবুজ রসের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে খেলে তার পেটের ইনফেকশন কমে যাবে। এসময় এমন রোগীকে এন্টিবায়োটিক খাওয়ালে অনেক সমস্যা হয়।

করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালেও যাদের বাইরে কাজ করতে হয়, যেমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবীসহ অন্যদের করণীয় সম্বন্ধে ড. বিজন কুমার শীল বলেন, করোনা ভাইরাস শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তো আর আক্রমণ করে না। সময় নিয়ে আস্তে আস্তে শরীরের মধ্যে বাড়তে থাকে।

এক্ষেত্রে বাসায় ফিরে গরম পানি পান করা, এক কাপ হালকা রং চা খাওয়া, নাক ও মুখ দিয়ে গরম পানির ভাপ নেয়া, পানির মধ্যে এক ফোঁটা মেন্থল দিলে আরও ভালো হয়। তাহলে নাকটা আরও ভালোমতো পরিষ্কার হয়ে যাবে, ফলে ভাইরাস ঢুকলেও শরীরের মধ্যে বাড়তে এবং সুবিধা করতে পারবে না।

About admin

Check Also

কাউনিয়া ব্লাড ডোনার যুব পরিবারের উদ্যোগে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও বৃক্ষ রোপণ

আব্দুল কুদ্দুস বসুনিয়া,বিশেষ প্রতিনিধিঃ কাউনিয়া ব্লাড ডোনার যুব পরিবার হারাগাছ ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুরে …

চিলমারীতে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎতায়িত হয়ে ১ জনের মৃত্যু

আলমগীর হোসাইন,  কুড়িগ্রামের চিলমারীতে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎতায়িত হয়ে আক্কাস আলী (৪০) নামের এক …

কাউনিয়ার মোস্তাফিজুরের বাঁচার আকুতি

কাউনিয়া( রংপুর)আব্দুল কুদ্দুছ বসুনিয়া : কাউনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫) সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে প্রায় দেড়বছর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *