ভেনিজুয়েলার জলসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া ইরানের ষষ্ঠ জাহাজে খাদ্যসামগ্রী রয়েছে বলে খবর দিয়েছেন ভেনিজুয়েলার কারাকাসে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হুজ্জাতুল্লাহ সুলতানি। তিনি গতকাল শনিবার আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।
জ্বালানী সংকটে জর্জরিত ভেনিজুয়েলার জন্য গত এপ্রিল মাসে পাঁচটি তেল ট্যাংকারে করে প্রায় ১৫ লাখ ব্যারেল পরিশোধিত তেল ও তেলজাত পণ্য পাঠায় ইরান। দুই দেশের ওপর আমেরিকার আরোপিত একতরফা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঐ ট্যাংকারগুলো পাঠানো হয় এবং সেগুলো গতমাসে ভেনিজুয়েলায় পৌঁছায়।
এরপর শনিবার খবর বের হয় যে, ইরানের আরেকটি জাহাজ ভেনিজুয়েলার জলসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। জাহাজটি গত ১৭ মে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহীদ রাজায়ি সমুদ্রবন্দর থেকে ছেড়ে গেছে বলে বার্তা সংস্থা ফার্স জানিয়েছে। এবার রাষ্ট্রদূত সুলতানি জানালেন, জাহাজটিতে ভেনিজুয়েলার জনগণের জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে তেহরান। ভেনিজুয়েলা তেলসমৃদ্ধ দেশ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির তেল শোধানাগারগুলো অচল হয়ে পড়ার কারণে পরিশোধিত তেলের অভাবে পড়ে দেশটি। সে অভাব পূরণ করার জন্য বন্ধুপ্রতীম দেশটিতে তেল পাঠায় ইরান।
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো তার দেশের জন্য জ্বালানী পাঠানোয় ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, ভেনিজুয়েলা একা নয় বরং বিশ্বে তার অনেক সাহসি বন্ধু রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো যখন গায়ের জোরে তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে চায় তখন শুধুমাত্র ভ্রাতৃপ্রতীম দেশগুলো পারে আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে।