এম আর মাহফুজ,ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীর আওতায় রাস্তা পুনঃ নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া ১৩.৫ মেট্রিকটন চাল হরিলুটের অভিযোগ ওঠেছে।বরাদ্দকৃত চালের মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা। আর মাত্র ২২ হাজার টাকা খরচ করে বাকিটা করছেন হরিলুট।চাল হরিলুটের অভিযোগটি ওঠেছে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুসাব্বীর হোসেনের বিরুদ্ধে।কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় গোরক মন্ডল আবাসনের পশ্চিম হতে চর গোরক মন্ডল রফিকুলের দোকান পর্যন্ত যাতায়তের প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তার পুনঃনির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেন চেয়ারম্যান মুসাব্বীর হোসেন।কাজ বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় একই ইউনিয়নের পূর্ব ফুলমতি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আজিমুল হকের ছেলে মোঃ হারুন অর রশিদ শাকিল অনিয়ম খতিয়ে দেখার জন্য গত ১৫ জুন জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগ আমলে নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তথ্য ও অভিযোগ শাখার সহকারী কমিশনার অভিজিত চৌধুরী ইতিমধ্যেই সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,রাস্তাটি পুনঃনির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল সাড়ে তের মেট্রিকটন চাল। যা অত্র এলাকার বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকদের রাস্তা মেরামতের কাজে লাগিয়ে তাদেরকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়ার নিয়ম।তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সামান্য কিছু টাকা খরচ করে বরাদ্দকৃত সমুদয় চাল হরিলুট করেছেন।
অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ নিতে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী এনামুল হক (৪১),আঃ হামিদ(৪০),আবুল হোসেন (৬৫),মজিবর রহমান(৫২),আশরাফুল আলম(২৮),খোদা বকস্(৪৫)রফিকুল (৩৪)শামেস আলী(৩০) জানান,রাস্তাটি মেরামতের জন্য চেয়ারম্যান মুসাব্বীর হোসেন শুক্কুর আলী নামের একজনকে ২২ হাজার টাকা চুক্তি দিয়েছেন।সে রাস্তাটির কাজের চুক্তি নিয়ে বেশি লাভের আশায় দ্রুত কাজ শেষ করে।তারা অভিযোগ করে বলেন রাস্তাটির কোথাও নতুন করে মাটি ফেলা হয়নি বরং রাস্তার উপরি ভাগের মাটি চেঁচে তা রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া হয়েছে।ফলে রাস্তা নিচু হয়ে এখন পানি জমে থাকে।সামান্য বৃষ্টিতেই মেরামত করা অংশে কাঁদাপানিতে একাকার হয়ে যায়।চলাচল করা যায় না।মেরামতের আগেই আমাদের এ রাস্তাটি ভাল ছিল।তারা আরও বলেন রাস্তাটির পুনঃনির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল সাড়ে তের মেট্রিকটন চাল যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। আর চেয়ারম্যান খরচ করলো মাত্র ২২ হাজার টাকা।এত বড় দিন ডাকাতি দেখার কি কেউ নেই?বলেন তারা।
এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুর রহমান বলেন,অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা পেয়েছি এবং তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন করে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।