প্লেব্যাক সম্রাট ও কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর না ফেরার দেশে চলে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে আজ চলে গেলেন। সোমবার সকালে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। সন্ধ্যায় সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানা গেছে।
টানা ৯ মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থেকে গত ১১ জুন একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছিলেন এন্ড্রু কিশোর। তারপর থেকে রাজশাহীতে একটি ক্লিনিকে আছেন। যেটি পরিচালনা করেন তার দুলাভাই ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস ও বোন ডা. শিখা বিশ্বাস।
এর আগে গতকাল ৫ জুলাই দুপুর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হতে থাকে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে পাড়ি দিয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। ছড়িয়ে পড়েছে মৃত্যুর গুজব। যাচাইবাছাই না করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুর খবর শেয়ার করেছেন অনেকে। পরে জানা যায় তখনো তিনি মারা যাননি। পরিবারের পক্ষ থেকে গুজব না ছড়াতে তখন অনুরোধ করা হয়।
১৯৭৭ সালে এন্ড্রু কিশোর আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন।
তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙ্গাল’ প্রভৃতি।