মোঃ মজিবর রহমান,নাগেশ্বরী প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জমি জমা ও চুরি সংক্রান্ত মামলা না নেওয়ায় মহা-পুলিশ পরিদর্শক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে মোঃ আব্দুর রহমান।
অপরদিকে আসামীগণ ওই পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ সাপখাওয়া গ্রামের ধনের উদ্দিন এর পুত্র কৃষক আব্দুর রহমান ১৯৮৫ সালে ৮১৩২ নং দলিল মূলে ধনদ্দির নিকট থেকে ১৬ শতক ,১৯৮০ সালে ৫৮৭৪ নং দলিল মূলে পনির উদ্দিনের নিকট থেকে ৮ শতক জমি এবং ১৯৮০ সালে ৮৩৭৪ নং দলিল মূলে আব্দুস ছাত্তার মোক্তার এর নিকট থেকে ১১ শতকসহ মোট ৩৫ শতক জমি ত্রুয় সূত্রে দীর্ঘদিন থেকে ভোগ দখল করে আসছেন। চতুর ও ধ্রæতবাজ আব্দুস সাত্তার মোক্তার বিক্রয়কৃত জমি চালাকী করে বিক্রির আগে গোপনে স্ত্রী ও পুত্র দ্বয়ের নামে ৩৩ শতক জমি কবলা করে দেন। যাহার কোন কার্যকারিতা বা আইনগত বৈধতা নেই। শুধু তাই নয় তিনি ওই ভুয়া দলিল দিয়ে কৌশলে নিজ নামে খারিজ এবং আর এস ডিপি রেকর্ড করেন । জমির প্রকৃত মালিক আব্দুর রহমান জানতে পেরে ভুয়া খারিজ এবং আর এস ডিপি রেকর্ডের উপর সহকারী কমিশনার (ভুমি ) নাগেশ্বরী অফিসে গত ১০এপ্রিল/২০১৮ ইং তারিখে ১৮/১৮ নং মোকদ্দমা দায়ের করেন। এতে অব্দুস সাত্তার গং ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল লাঠি, বল্লম, দা, কাচি, কুড়াল ও মারাত্মক অস্ত্রসহ বাদীর ৩৫ শতক জমিতে লাগানো পাটও ধুমসা কাটিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করেন। কিন্তু বাদী পক্ষ বাধা প্রদান করিলে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হন।
আসামীরা যাতে অবৈধভাবে জমি দখল করিতে না পারে এই মর্মে বিবাদীর বিরদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রীর জন্য আদালতে মোকদ্দমা দাখিল করেন।
বিজ্ঞ আদালত গত ১১ফেব্রæয়ারী২০২০ ইং তারিখে উক্ত জমিতে উভয় পক্ষের জন্য নিষেজ্ঞা জারী করেন।
বাদী পক্ষ আদালতের রায় মানলেও আসামী আব্দুস সাত্তার গং ২৩ ডিসেম্বর/২০১৯ইং তারিখে উক্ত জমিতে অবৈধ ভারে ঘর উত্তোলন করার চেষ্টা করেন। বাদী আব্দুর রহমান এতে বাধা প্রদান করে কিন্ত আসামীরা তাকে হত্যার
হুমকি দিলে সে ভয়ে নাগেশ্বরী থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এর ফলে এস এই ফারকী ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর তোলার বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেন এবং ঊভয় পক্ষকে জমির কাগজপত্রসহ গত ১জানুয়ারী/২০২০ইং নাগেশ্বরী থানায় উপস্থিত থাকার জন্য বলেন।
এদিকে গোপনে বাদীকে না জানিয়ে আসামীদের জব্দকৃত টিন ও কাঠ বাঁশ ফেরত দেন। মালামাল ফেরত পেয়ে আসামীরা থানায় উপস্থিত না হয়ে আবারো গত ২৩জানুয়ারী/২০২০ইং তারিখে উক্ত জমিতে মাটি কাটাসহ ঘর উত্তোলন করার চেষ্টা করে। বাদী আব্দুর রহমান গত ২৪জানুয়ারী/২০২০ইং তারিখে নাগেশ্বরী থানায় আরো একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে এসআই জুয়েল আসামী মিন্টুকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে। পরে ওই জমিতে না যাওয়ার শর্তে অঙ্গীকার নিয়ে ছেড়ে দেন। বার বার পার পাওয়ায় আসামীরা আবারো ১৬ফেব্রæয়ারী/২০২০ ইং তারিখে ঘর তোলার চেষ্টা করলে নাগেশ্বরী থানার এস আই আলিফনুর ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতের নিষেজ্ঞার কথা জানিয়ে দেন এবং ওই বিবাদমান জমিতে কোন প্রকার ঘর বা দখল করা যাবেনা বলে সতর্ক করেন। আসামীরা পুলিশের এই নিষেধেজ্ঞা অমান্য করে গত ১৩মে/২০২০ইং তারিখে গভীর রাতে নুতন করে একটি ঘর তৈরী করেন। ফলে বাদী পক্ষ বর্তমানের উক্ত আসামীদের ভয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে। এরই মধ্যে ১৬ জুন মঙ্গলবার মামলার বাদি অভিযোগ করে আসামীরা তার বাড়িতে সিঁদ কেটে জমির দলিল সহ মুল্যাবান জিনিস পত্র চুরি করেছে।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানায় মামলা না নেওয়ায় ২৯জুন পুলিশ মহাপরিচালক, হেড কোয়াটার বরাবর অভিযোগ করেছে।