রবিবার , মে ১৯ ২০২৪
Home / সারা দেশ / গলাকাটা গুজবে কান না দেয়ার আহবান উলিপুর উপজেলা প্রশাসনের।

গলাকাটা গুজবে কান না দেয়ার আহবান উলিপুর উপজেলা প্রশাসনের।

মোঃ জাহিদ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় গলাকাটা গুজবে কান না দেয়ার আহবান জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের।

গলাকাটা বা কল্লা কাটা এটা একটা গুজব মাত্র। এর জন্য আতংকিত না হতে স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদেরকে আহবান জানান তিনি।

জানা যায়,গলাকাটা বা কল্লা কাটা গুজবে উপজেলার অনেক স্কুলের অভিভাবকদের মাঝে এমন আতংক দেখা যায়। বিষয়টি হাস্যকর হলেও অভিভাবকরা নাকি শুনেছে যে,পদ্মা সেতু বানাতে মানুষের মাথা লাগবে!
ফ্যাক ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে এমন ভূয়া খবর দেয়া হচ্ছে। যা সম্পুর্ন ভূয়া,মিথ্যা ও বানোয়াট। এগুলো গুজব ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে অন্যান্য জেলায় ইতিমধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

বেশ কয়েকজন অবিভাবক জানান,সারা দেশে গলাকাটা ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নাকি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা ছেলে-মেয়েদের বাইরে দিতে চিন্তিত হচ্ছি।কয়েকদিন যাবৎ অভিভাবকদের মধ্যে এমন ভ্রান্ত ধারনা দেখা দিয়েছে।এসব গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানায় সচেতন মহল।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম উলিপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক মোঃ আবু জাফর সোহেল রানা বলেন,গলাকাটা বা কল্লা কাটা সম্পূর্ণ গুজব।এসকল গুজবে কান না দিয়ে সকলকে সজাগ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করার আহবান জানান।গুজব সৃষ্টিকারীদের কোন পরিচয় বা তথ্য পেলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।

বিষয়টি নিয়ে শনিবার(১৩ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সেতু বানাতে মানুষের মাথা বা কল্লা লাগবে এমন কুসংস্কার বিশ্বাস করার কোন সুযোগ নাই। সেতু মন্ত্রণালয় জরুরী প্রচারনার মাধ্যমে এমন গুজবের বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রদক্ষেপ গ্রহন করেছে।তাই এসব মিথ্যা গুজবে কান না দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।

About admin

Check Also

রংপুরে কিশোর গ্যাংয়ের মুলহোতা মেরাজ গ্রেফতার

রেখা মনি,রংপুর ব্যুরোঃ রংপুরে র‌্যাবের জালে বন্দি কিশোর গ্যাংয়ের মুলহোতা মেরাজ।কয়েকদিন আগে রংপুর নগরীর গণেশপুরে হোটেল ব্যবসায়ীর উপর হামলাকারী কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা মো.মেরাজ (২০)কে গ্রেফতার করেছে রংপুর র‌্যাব-১৩।র‌্যাব বলছেন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানা থেকে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (১২)মে বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৩ এর  উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি সুত্রে জানা গেছে,গত পহেলা মে রংপুর নগরীর গণেশপুর বকুলতলা এলাকায় মো. মিরাজ ও তার অন্যান্য কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ভাই ভাই হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর সামনে পটকা ফুটাতে থাকে। তবে এঘটনায় ২জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানাগেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-প্রধান আসামী মেরাজ ও শ্ওান। এতে হোটেল ম্যানেজার মো.শাহরিয়ার (২৬) বিরক্তি প্রকাশ করে কিশোরে বাবা মা এর কাছে তাদের নামে অভিযোগ বলে জানান।তখন সেখান থেকে চলে যায় তারা।পরেরদিন ২ মে মিরাজ ও তার কিশোর গ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র দা, লোহার ধারালো কিরিচ, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে ভাই ভাই হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এ হামলা চালায়। হামলায় হোটেলের ম্যানেজার  শাহরিয়ার গুরুতর আহত হন। কিশোর গ্যাংয়ের সেদিনের হামলার ভিডিও (সিসি টিভি ফুটেজ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর মেরাজের সাথে থাকা অন্য দুই জন পুলিশের কাছে গ্রেফতার হলেও মিরাজ গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় হোটেল মালিক বাদী হয়ে ওই দিনেই রংপুর কোতয়ালীয় ৩জনের নাম উলেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই রংপুর-র‌্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে (রোববার) মিঠাপুকুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা মো. মিরাজ কে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে রংপুর ‌র‌্যাব- ১৩ এর  উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ জানান,গ্রেফতার কিশোর গ্যাংয়ের মুলহোতা মেরাজকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সাথে রংপুরে কিশোর গ্যাং মুক্ত করতে গোয়েন্দা তৎপরতা এবং নজরদারি রয়েছে বলে র‌্যাব জানান।

বেলকুচিতে ভোট কেনার সময় ইউপি চেয়ারম্যান আটক

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলামের পক্ষে দোয়াত কলম প্রতিকের পক্ষে টাকা দিয়ে ভোট …

বাগেরহাটে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভোটগ্রহণ

বাগেরহাটের দুই উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *