হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাস, সিরোসিস ইত্যাদি থেকে লিভার ক্যানসার হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করতে পারলে লিভার ক্যানসার নিরাময় সম্ভব। আর তাই ক্যানসারের লক্ষণগুলো জানা প্রয়োজন।
লিভার ক্যানসারের লক্ষণের বিষয়ে বলেছেন ডা. সেলিমুর রহমান। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে কোন কোন বিষয় কাজ করে?
উত্তর : আসলে ‘বি’ ভাইরাস সিরোসিস করতে চার থেকে পাঁচ বছর লেগে যায়। ‘সি’ ভাইরাস সিরোসিস করতে ১৫ থেকে ২৫ বছর লাগে। তাই ‘বি’ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সিরোসিসও তাড়াতাড়ি হবে, ক্যানসারও তাড়াতাড়ি হবে। তবে ‘সি’ ভাইরাসে সিরোসিসও দেরিতে হবে, ক্যানসারও দেরিতে হবে। তবে ‘সি’ ভাইরাসের ঝুঁকি ‘বি’ ভাইরাসের তুলনায় অনেকগুণ বেশি থাকবে। সিরোসিস হয়েও ক্যানসার হতে পারে।
সিরোসিস ও ভাইরাস একত্রে থাকলে আশঙ্কা অনেক। শুধু সিরোসিস থাকলেও ক্যানসার হতে পারে। শুধু ভাইরাস থাকলেও ক্যানসার হতে পারে। একটি স্থিতিপূর্ণ ‘বি’ ভাইরাসে তার কোনো লক্ষণ ছিল না, হঠাৎ করে তার লক্ষণ প্রকাশ পাবে।
কী রকম লক্ষণ হবে? ক্ষুধামান্দ্য, তার ভালো লাগবে না, তার জন্ডিস হয়ে যাবে, লিভারটা আগে বড় ছিল না, এখন বড় হয়ে যাবে। তার রক্তবমি হতে পারে, তার জটিলতা হতে পারে। এমনকি দেখা যাচ্ছে রক্তবমি হচ্ছে, এটি কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। এটাও হতে পারে। এর মানে স্থিতিশীল রোগীটা অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। তখনই কিন্তু আপনাকে চিন্তা করতে হবে, এর মধ্যে ক্যানসার রয়েছে কি না। এভাবে আপনি যদি রোগ নির্ণয় করেন, তাহলে তো অনেক দেরি হয়ে যাবে। এ জন্য উন্নত বিশ্বে তারা রুটিন চেকআপ করে থাকে। বেশি উন্নত দেশে তিন মাস পরে করে। আর উন্নত দেশগুলোতে অন্তত ছয় মাস পর পর চেকআপ করে। আমরাও আমাদের রোগীগুলোকে চেকআপের মধ্যে আনতে পারি।