বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে নিলামের আগেই পূর্ব চর পাত্রখাতা সরকারী বিদ্যালয়ের মালামাল লুট, কালো বাজারে বিক্রি, সংস্কার, স্লিপের কাজে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জনতার হাতে মালামালসহ আটক। এলাকায় উত্তেজনা।
জানা গেছে, পূর্ব চর পাত্রখাতা সরকারী বিদ্যালয়ের ভবনসহ বিভিন্ন মালামাল নিলামের জন্য সময় নিদ্ধারন করে প্রচারনা করেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সময়ের আগেই গোপনে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঙ্গলবার দুপুরে মোছাঃ রিয়াজবিন রানু, টিন, রড, পাইপসহ বিভিন্ন মালামাল লুটসহ কালো বাজারে বিক্রির করেন। বিক্রিকৃত মালামাল বাহনে নিতে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে তা আটক করলে চালক ও ক্রেতা পালিয়ে যায়। এসময় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন শুধু বিদ্যালয়ের সরকারী মালামাল নয় উক্ত প্রধান শিক্ষক বরাদ্দকৃত সংস্কার কাজের টাকা, স্লিপের টাকাসহ বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা নামে মাত্র কাজ দেখিয়ে আত্মসাত করেই যাচ্ছেন। এব্যাপারে এলাকার ইউপি সদস্য ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আঃ আজিজ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, মালামাল বিক্রি ব্যাপারে কমিটির কোন সিন্ধান্ত হয়নি প্রধান শিক্ষক গোপনে তা বিক্রি করেছিল এলাকাবাসী আটক করে আর কোন বরাদ্দের কি কাজ করেছে তা আমার জানা নেই। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামছুল হক বলেন কত টাকা বরাদ্দ তা আমি জানি না আর প্রধান শিক্ষক মুলত একাই সব কিছু করার চেষ্টা করেন। এসময় এলাকাবাসী ও অভিভাবকগন অভিযোগ করে বলেন স্কুলের মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা তা আটক করলে ক্রেতা বলেন উক্ত মালামাল তার কাছে প্রধান শিক্ষক বিক্রি করেছে তবে সুযোগ বুঝেই মালামাল ও বাহন রেখেই ক্রেতা পালিয়ে যায়। তারা আরো বলেন শুধু লুট বা টাকা আত্মসাদ নয় উক্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়েও সব সময় আসেই দেরি করে শিক্ষার্থীদের হাজিরা হয়না বরং বিস্কুটের কার্ড আপ টু ডেট থাকে সব সময়, স্কুলে আসেন দেড়িতে চলেও যান সবার আগে। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোছাঃ রিয়াজবিন রানু বেগমের সাথে কথা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি না হলেও পরে জানান এই বিদ্যালয়ের ভবনসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিলামের সিন্ধান্ত নেয় হয়েছে তাই যারা নিলামের জন্য আসবেন তাদের নাস্তার ব্যবস্থা করতে কিছু জিনিস বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। পরে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলামের সাথে কথা তিনি জানান, বিদ্যালয়ের কোন মালামাল একক ভাবে প্রধান শিক্ষক বিক্রি করতে পারবেনা। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।